স্পোর্টস ডেস্ক
চলতি কোপা আমেরিকায় প্রথমবার গোল হজম করলো আর্জেন্টিনা। কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ মুহূর্তে তাদের জাল কাঁপিয়ে আর্জেন্টাইন ভক্তদের বুকে কাঁপন ধরায় ইকুয়েডর। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে শেষ হলে টাইব্রেকারে লিওনেল মেসির শট ক্রসবারে আঘাত করে। অধিনায়কের ব্যর্থতা এমিলিয়ানো মার্টিনেজের মনোবলে চিড় ধরাতে পারেনি। শুটআউটে দারুণ দুটি সেভে ৪-২ গোলে জয়ের নায়ক তিনি। ম্যাচ শেষে কোয়ার্টার ফাইনালের হিরো বললেন, এখনই ছিটকে যাওয়ার মতো দল তারা নয়। শুটআউটের আগে সতীর্থদের উজ্জীবিত করেছিলেন মার্টিনেজ, ‘টাইব্রেকার শুরুর আগে আমি সতীর্থদের বলেছিলাম আমি এখনই বাড়ি যাওয়ার জন্য তৈরি নই। এই দল ফাইনালে যাওয়ার দাবি রাখে। এই দল কোপায় আরও দূরে যাওয়ার দাবি রাখে। এগুলো বিশেষ মুহূর্ত। এটা খুবই রোমাঞ্চকর।’ লিসান্দ্রো মার্টিনেজের গোলে আর্জেন্টিনা প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ইনজুরি টাইমে কেভিন রদ্রিগেজের গোলে সমতা ফেরায় ইকুয়েডর। ফাইনালের আগে নকআউটে অতিরিক্ত সময় না থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। প্রথম শটেই মেসির মিস। তবে অ্যাঞ্জেল মিনা ও অ্যালান মিন্দাকে রুখে দিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার পথ তৈরি করেন মার্টিনেজ। এই প্রথম নয়, এর আগেও আর্জেন্টিনাকে খাদের কিনারা থেকে তুলে এনেছেন এই কিপার। ২০২১ সালের কোপায় কলম্বিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি শুটআউটে ৩-২ গোলের জয়ে তিনটি সেভ করেন মার্টিনেজ। আর কাতারে বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে দুটি সেভ করে দলকে এনে দেন ট্রফি। কঠোর পরিশ্রমের কারণেই এই সাফল্য বললেন মার্টিনেজ, ‘আমি ট্রেনিংয়ে দৈনিক ৫০০ বার ডাইভ দেই। সব সময় ভালো অবস্থায় তাকি। যারা টাকা খরচ করে আমাদের খেলা দেখতে এসেছিল তারা এটার দাবি রাখে। আমি আবেগে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। গোলকিপার ও ব্যক্তি হিসেবে আমি আরও উন্নতি করতে চাই।’ দলের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইকুয়েডরের গোলকিপার ডোমিঙ্গেজকে সান্ত্বনা দিয়েছেন মার্টিনেজ। প্রতিপক্ষের প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, ‘তারা আমাদের জন্য সবকিছু কঠিন করে তুলেছিল। আমরা ভালোভাবে খেলতে পারছিলাম না। দারুণ খেলে তারা এবং আমরা জানতাম এই কাপে তারা অন্যতম কঠিন দল। দুর্ভাগ্যবশত তারা শেষ দিকে সমতা ফেরালো এবং আমরাও প্রথম পেনাল্টি মিস করলাম। আমাদের জন্য এটা কঠিন ছিল।’
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
